(27) যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাকে নারীবাচক নাম দিয়ে থাকে।
(28) অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানের উপর চলে। অথচ সত্যের ব্যাপারে অনুমান মোটেই ফলপ্রসূ নয়।
(29) অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ এবং কেবল পার্থিব জীবনই কামনা করে তার তরফ থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নিন।
(30) তাদের জ্ঞানের পরিধি এ পর্যন্তই। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ভাল জানেন, কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন কে সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে।
(31) নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর, যাতে তিনি মন্দকর্মীদেরকে তাদের কর্মের প্রতিফল দেন এবং সৎকর্মীদেরকে দেন ভাল ফল।
(32) যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে কচি শিশু ছিলে। অতএব তোমরা আত্নপ্রশংসা করো না। তিনি ভাল জানেন কে সংযমী।
(33) আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
(34) এবং দেয় সামান্যই ও পাষাণ হয়ে যায়।
(35) তার কাছে কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে, সে দেখে?
(36) তাকে কি জানানো হয়নি যা আছে মূসার কিতাবে,
(37) এবং ইব্রাহীমের কিতাবে, যে তার দায়িত্ব পালন করেছিল?
(38) কিতাবে এই আছে যে, কোন ব্যক্তি কারও গোনাহ নিজে বহন করবে না।
(39) এবং মানুষ তাই পায়, যা সে করে,
(40) তার কর্ম শীঘ্রই দেখা হবে।
(41) অতঃপর তাকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে।
(42) তোমার পালনকর্তার কাছে সবকিছুর সমাপ্তি,
(43) এবং তিনিই হাসান ও কাঁদান
(44) এবং তিনিই মারেন ও বাঁচান,